একটা গল্প তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে গেছে ধীর লয়ে, তার নিজস্ব ছন্দে। কখনও বিপন্ন, কখনও ক্ষত বিক্ষত, অস্থির এক সময় ভেদ করে গভীর আশ্রয়ের অন্বেষণে। গল্প গড়ে উঠেছে এক ভীষণ জেদি বিদ্রোহী প্রেমিক আর প্রবল নৈষ্ঠিক বিরহি প্রণয়িনীর মধ্যে। আখ্যানের অপর প্রান্তে রয়েছে এক তরুণ লেখক ও তার অন্বেষণ। দুটো গল্প পরষ্পরের সাথে জড়িয়ে যায় ঘটনাচক্রে বারবার। কাহিনি এগিয়ে চলে দুটো দেশ, দুটো দীর্ঘ সীমানা, দীর্ঘ চরাচর পেরিয়ে চরিত্রগুলোর ভেতরের খোঁজকে নিয়ে। উঠে আসে ছত্রে ছত্রে নাগরিক সভ্যতার অস্থিরতা,সোশাল মিডিয়ার রমরমা, প্রেম, অপ্রেম, বিশ্বাস, অবিশ্বাস, সাফল্য, ব্যর্থতা, প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি, সম্পর্ক আর অস্তিত্ব রক্ষার নীরব অন্বেষণ। আজন্মা বাউল মনটি নিয়ে অবশেষে সেই বিরহিনী নারী একদিন এসে দাঁড়ায় চিতার সোনালি ছাই-এর দ্বারে। উঠে পড়ে জীবনের শেষ ধাবমান ট্রেনটিতে, যেখানে আবিষ্কার করে তার চির অন্বেষণকে। তারপর? তারপর কাহিনি কোন দিকে গড়ায়? জানতে হলে গভীর ভাবে উপন্যাসটি পড়তে হবে। শেষ আশ্রয়ের খোঁজে জীবনের বাস্তব এবং পরাবাস্তবের সমন্বয়ে এক অতীন্দ্রিয় অনুভূতি নিয়ে গড়ে ওঠা সাম্প্রতিক সময়ের এক তীব্র প্রেমের কাহিনি, ‘অন্বেষণ’।